দেশ 

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা ডাক্তারির  পড়ুয়াদের পশ্চিমবাংলায় নতুন করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন। তিনি বুধবার এই আশ্বাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক চিঠি লিখে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে পাঠরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভারতে পড়াশোনা সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে তিনি চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সেই প্রস্তাব গুলি এখানে তুলে ধরা হলো।

১। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী যে সমস্ত পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাদের সরকারি কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ইন্টার্নরা যে সরকারি ভাতা পান, সেটাও ইউক্রেন ফেরতদের দেওয়া হোক।

Advertisement

২। যে সব পড়ুয়া প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষের মতো স্তরে পড়াশোনা করছিলেন, তাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সমমানের স্তরে ভরতি করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে এই মেডিক্যাল কলেজগুলি যাতে ইউক্রেনের পড়ুয়াদের ভরতি করার জন্য নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হোক।

৩। বর্তমানে ন্যাশনাম মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র যে সব পড়ুয়া প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁরাই দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভরতির সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, কঠিন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই গাইডলাইন শিথিল করা হোক।

৪। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার ব্যপারে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার এই পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে সাহায্যও করবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ৩৯১ জন পড়ুয়া বাংলায় ফিরেছেন। নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভীষণভাবে চিন্তিত এই পড়ুয়ারা। সব পড়ুয়ায় নিজেদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল, প্রচুর অর্থও ব্যয় করেছে। কিন্তু এখন তাঁরা গভীর সংকটে। রাজ্য সরকার এদের সংকট নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর এটা যেহেতু জরুরি পরিস্থিতি, তাই এ বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ